প্রকাশিত: Wed, Nov 8, 2023 12:01 AM আপডেট: Sat, Jul 5, 2025 4:25 AM
[১]বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র: ভেদান্ত প্যাটেল [২]‘জনগণের স্বার্থে সরকারি-বিরোধী দলসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান করছি
’ ইকবাল খান: [৩] সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র অধিদফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেলকে একজন সাংবাবিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এই কক্ষ থেকে সি-৩ ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মীরা গণতান্ত্রিক অধিকার দোহাই দিয়ে অব্যাহতভাবে ভাঙচুর এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে বাংলাদেশে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ব্যাহত করেছে। আপনি কি জাতীয়তাবাদী দলকে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলবেন?
[৪] জবাবে উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং করতে থাকব এবং আমরা যেকোনো সহিংসতার ঘটনাকে মারাত্মক গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিচ্ছি। আমরা সরকার, বিরোধী দলগুলো, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি এবং জানিয়ে যাব।’
[৫] আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সত্যিই কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন। গত সপ্তাহে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতারা একজন মার্কিন নাগরিককে তাদের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে এটি জানাতে যে, তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা এবং বাইডেনের সঙ্গে দিনে তার ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয়। তারপর দলটির আরেক নেতা পিটার হাসকে অবতার হিসেবে উল্লেখ করেন ও জাতীয়তাবাদী দলের উদ্ধারকারী হিসেবে আখ্যা দেন। আপনি কি স্পষ্টভাবে জাতীয়তাবাদী দলের এই দাবি অস্বীকার করবেন?
[৬] জবাবে ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি সে বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেখিনি এবং সত্যি বলতে আপনি কি বিষয়ে কথা বলছেন তা নিয়ে আমার সত্যিই কোনো ধারণা নেই।’
[৭] এ সময় প্রশ্নকারী বাধা দিয়ে বলেন, ‘আমি যদি দিতে পারি’
জবাবে উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত বলেন, ‘দয়া করে আমাকে বাধা দেবেন না। ঢাকায় আমাদের দূতাবাসে আমাদের একটি অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিভাবান টিম রয়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত। যিনি কেবল বাংলাদেশেই নয় এর চেয়েও বড় অঞ্চলেও কাজ করতে সক্ষম।’
[৮] আরেক প্রশ্নে বলা হয়, সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। তারা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে। বিপরীতে সরকার এক অর্থে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আটক করা হয়েছে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে। ২৮ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার দলের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিরোধী দলের সদস্যদের আগুনে নিক্ষেপ করতে বা তাদের হাত পোড়াতে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- সেই পরিবেশ তৈরির জন্য আপনারা কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করবেন?
[৯] জবাবে উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত বলেন, ‘এটা মনে রাখা জরুরি যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এটি আমরা আগেও বলেছি, আপনার বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে আমরা এটি পুনরুল্লেখ করেছি। আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ওপর অন্য রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী নই। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা।’
আরও সংবাদ
[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের
[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক
[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস
[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
[১] বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: ভারত

[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের

[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক

[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল

[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস

[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
